কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাঁকখালী নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে মহেশখালী জেটিঘাট। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-রুটের যাত্রীদের। বিশেষ করে ভাটার সময় এ দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। স্থানীয়রা বলছেন, জেটিঘাটটি পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও দুর্ভোগ অবসানে নেয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। সম্প্রতি এ রুটে ফেরিঘাট চালুর উদ্যোগের কথা বলা হলেও কবে নাগাদ চালু হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য জানাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
জেটিঘাট ইাজারাদাররা জানান, নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় জোয়ারের সময় জেটির অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও ভাটায় নেমে আসে দুর্ভোগ। এ সময় পানি কমে গিয়ে স্পিডবোটসহ অন্যান্য বোট ঘাটে ভিড়তে পারে না। ফলে কাদা মাড়িয়ে জেটিতে উঠতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের। এছাড়া বর্ধিত কাঠের জেটিটিও ঝুঁকিপূর্ণ। এরই মধ্যে নড়বড়ে এ জেটিতে অধিক যাত্রী অবস্থান করায় বেশ কয়েকবার ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সময়ই ভাটা থাকে বিকালের দিকে। এ সময় নানা প্রয়োজনে কক্সবাজার শহরে আসা মহেশখালীর লোকজন বাড়িতে ফেরে। কিন্তু ভাটার কারণে নৌযান জেটিতে ভিড়তে না পারায় কাদা মাড়িয়ে উঠতে হয় তাদের। একই সময় মহেশখালীর আদিনাথে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা কক্সবাজার শহরে ফিরে আসেন। তাদেরও মহেশখালী জেটিঘাট দিয়ে এসে কাদা মাড়িয়ে বোটে উঠতে হয়।
মহেশখালী চিংড়ি ব্যবসায়ী এনামুল হক জানান, তিনি প্রায়ই চিংড়ি নিয়ে কক্সবাজার আসেন। সকালের দিকে এসে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় ভাটা থাকায় কাদা মাড়িয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জুলাই নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুর উর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল মহেশখালী দ্বীপের তিনটি স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরিদর্শক দল মহেশখালীর গোরকঘাটার সি-বিচ থেকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক, মহেশখালী জেটিঘাট থেকে চৌফলদণ্ডি ঘাট ও আদিনাথ জেটি হয়ে চৌফলদণ্ডি ঘাটে ফেরি চালুর সম্ভাব্যতা অবলোকন করে। এ তিনটি উপযুক্ত ও টেকসই স্থানে ফেরি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ উদ্যোগের কোনো অগ্রগতির কথা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-রুটে ফেরি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক দল। আমরাও দ্রুত ফেরি চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম