কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশাল জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমান শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ হয়েছে। একইসাথে আবাদি জমির পরিমানও বেড়েছে।কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে জানাগেছে, ২০১৬-১৭ সালে জেলায় শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪শ’ ৫০ মেট্রিকটন। আর ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আবাদের পরিমান আরো বাড়বে।
খামার বাড়ি সূত্র আরো জানায় চলতি মৌসুমে আবাদের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করায় ব্যাপক উৎপাদনের আশায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে সবজি আবাদে। এসব শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে, লাল শাক, পালং শাক, ফুলকপি, লাউ, বাধাকপি, পটল, বটবটি, নতুন আলু, মূলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি। কৃষকরা যাতে এবার অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তাদের সার্বক্ষণিক বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করছেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
একাধিক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, অসাধু বীজ ব্যাবসায়ীরা যাতে প্রান্তিক কৃষকদের নিম্নমানের ভেজাল বীজ সরবরাহ করতে না পারে সে জন্য বিএডিসি’র মাধ্যমে বাজার মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই প্রতিরোধে কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। এবার উন্নতমানের বীজ সরবরাহের কারণে হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে চলতি বছর ব্যাপকভাবে শীতকালীন সবজি আবাদ করে সফল হওয়া কৃষক মো. ফজল, মো. খলিল জানায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দামও ভালো। তাই উৎপাদন খরচ পুষিয়ে অধিক লাভের আশায় এখন শেষ সময় ব্যস্ত সময় পার করছেন সবজি আবাদে। জেলার সদর উপজেলার সাহেবের হাটের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করে, প্রায় ৮ একর জমিতে সবজি আবাদ করেছেন আব্দুর রহমান। দ্বিতীয় পর্যায়েও সবজির আবাদ করে তিনি সফল হবেন এমনটাই আশা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্রী রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান, চলতি মৌসূমে জেলায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন। নির্ধারণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। একই সাথে বর্তমান সময়ে শীতকালীন শাক-সবজি দ্বিতীয় পর্যায়ে আবাদ চলছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ি) যথাসময়ে কৃষকদের মাঝে ভালো বীজ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম