কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পাবনা ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মার দুর্গম ধু-ধু বালুচরের কাশবন কেটে কৃষক শামীম আহমেদ গড়ে তুলেছে কলাবাগান। পুরাতন ঈশ্বরদীর মোঃ শহিদুল ইসলামের পুত্র শামীম আহমেদ কৃষি ডিপ্লোমা পাস করে চাকরির পেছনে না ঘুরে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। পদ্মার চরের অন্যের ৮০ বিঘা জমি বাত্সরিক খাজনা নিয়ে কাশবন কেটে লাগিয়েছে কলা গাছ।
কঠোর পরিশ্রমের কারণে বাগানের শামীমের গাছগুলো দৃষ্টিনন্দন। কাশবনের বালু চরে এখন সবুজের সমারোহ। বিলবামনী মৌজার চরের দিকে তাকালেই সবুজ কলাবাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। শামীম ২০১২ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পাস করেন। প্রথমদিকে চাকরির পেছনে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। শামীমের বাবা অনেক আগে থেকে কলার চাষ করতেন। এখন তার খামারে ২০জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন।
কলা চাষি শামীম আহমেদ বলেন, খাজনায় জমি নিয়ে এক প্রকার ঝুঁকি গ্রহণ করে সবুজের সমারোহ কলাবাগান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমার দেখাদেখি চরে এখন অনেক যুবক কলা চাষ করছে। অর্থ সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে পারছি না। স্বল্প সুদে সরকারি বেসরকারি যে কোনো ব্যাংক, বীমা, এনজিও বা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পেলে আমার কৃষি খামার প্রসারিত করতে পারবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘শামীমের কলাবাগান পরিদর্শন করে দেখা যায়, গাছের অবস্থা ভালো, কলাগাছ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আমাদের কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে শামীমের মতো অনেক কৃষক আজ স্বাবলম্বী।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম