কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কমতে শুরু করেছে হলুদ ও মরিচের দাম। দেশে উৎপাদিত এ দুটি পণ্য বাজারে আসবে এমন খবরে মজুদ ও আমদানি করা পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে দেয়ায় দাম কমছে সমান তালে। বাজারে শুকনা হলুদের সরবরাহ বাড়লেও মরিচের সরবরাহ শুরু হয়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বাড়তির দিকে থাকা ভারতীয় মরিচের দাম বর্তমানে কমছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ভারতীয় মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজিতে। বর্তমানে দেশী মরিচের সরবরাহ না হলেও আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন মৌসুমের মরিচের উত্তোলন শুরু হবে। তখন ভারতীয় মরিচের চাহিদা কমে আসবে।
একইভাবে এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি হলুদ ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১২-১১৩ টাকায়। দেশী হলুদের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা হলুদের দাম কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় হলুদের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। হলুদের সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পণ্য দুটির সাম্প্রতিক বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে মসলা ব্যবসায়ী বিমল চৌধুরী বলেন, রবি মৌসুমের শুকনা মরিচ বাজারে আসতে কিছুটা দেরি হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে শুকনা মরিচ উত্তোলন শুরু হলেও এখনো পাইকারি বাজারে এসে পৌঁছায়নি। তবে ব্যবসায়ীরা এখন থেকেই মজুদে থাকা ভারতীয় মরিচ বিক্রি করা শুরু করেছেন। বিক্রির এ চাপের কারণে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে হলুদের সরবরাহ শুরু হওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলুদ ও মরিচের দাম কিছুটা কমলেও পাইকারি পর্যায়ে অন্য গরম মসলার দাম নিম্নমুখী ও কিছু মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি গোলমরিচ বিক্রি হয়েছে ৭৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে একই মানের গোলমরিচ বিক্রি হয়েছিল ৭৮০ টাকায়। এলাচ বিক্রি হচ্ছে স্থিতিশীল দামে ১ হাজার ১৯০ টাকায়, লবঙ্গ কিছুটা বাড়তি দামে ৯২০ টাকায় এবং দারচিনি স্থিতিশীল অবস্থায় ১৯৫ থেকে ১৯৮ টাকা কেজিদরে পাইকারিতে লেনদেন হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি ভারতীয় জিরা লেনদেন হচ্ছে ২৯০ থেকে সর্বোচ্চ ৩২০ টাকা দরে। সিরিয়ান জিরা ৩৩০ টাকা, লবঙ্গ ৮৩০ টাকা, ধনিয়া মানভেদে ৪৮ থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা এবং তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
কৃপ্র/এম ইসলাম