কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আগাম জাতের আলু চাষ করে লোকসান গুনছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। চলতি মৌসুমের (আগস্ট-ফেব্রুয়ারি) শুরুতে বাজারে আলুর দাম কিছুটা ভালো থাকলেও বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন আলুচাষীরা। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ২১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে সদর উপজেলার নারগুন, বেগুনবাড়ি, কহরপাড়া ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি, মধুপুরসহ ৫-৭টি গ্রামে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়।
চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয় ৩০-৩২ টাকা দরে। ক্রমান্বয়ে আলুর দাম কমতে কমতে ১৫-২০ টাকায় পৌঁছায়। তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কমে ৫-৮ টাকায় এসে পৌঁছেছে। সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের আলুচাষী হুমায়ুন কবির জানান, আগাম আলু চাষ করে শুরুতে লাভবান হলেও বর্তমানে বাজারে আলুর দাম নিম্নমুখী। জেলায় গেনলা, কাটিনাল, ডায়মন্ড ক্যারেজসহ বিভিন্ন জাতের আলু ৫-৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে উত্পাদন ভালো হলেও লোকসান গুনতে হচ্ছে আলু চাষীদের। তবে ঋণ নিয়ে আলুর আবাদ করা চাষীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলার নারগুন এলাকার আলুচাষী নজরুল ইসলাম জানান, আগাম আলু চাষ করে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আর আলু উত্পাদন হয়েছে প্রায় ১২০-১৩০ মণ পর্যন্ত। আর বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০-৩২ টাকা। কিন্তু বর্তমানে প্রকারভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫-৮ টাকা কেজি দরে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা জাহেরুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার নারগুন, বেগুনবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামে আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের উত্পাদন খরচও তুলতে পারছে না। তবে কৃষকরা যদি আলু সংরক্ষণ করতে পারেন তবে আগামীতে আলুর দাম আরো বাড়বে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা/ কৃপ্র/এম ইসলাম