কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গত কয়েকদিন আগেও তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ প্রায় আড়াই হাজার কিউসেক থাকলেও তা মাত্র ৪০০ কিউসেকে নেমে এসেছে। আর পানি শুকিয়ে তিস্তা মরুভূমিতে পরিণত হওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে লালমনিরহাট তিস্তা ব্যারেজের সুবিধাভোগী কৃষকরা। দীঘদিন থেকেই তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি থমকে রয়েছে। এ অবস্থায় স্বল্প পানির প্রবাহের ওপর ভর করে রবিবার বিকাল থেকে চলতি মৌসুমে (বোরো) তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
পানি সংকটের কারণে এবার রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কমান্ড এলাকাকে সেচ সুবিধা থেকে বাদ রেখে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো আবাদের মুখ্য সময়ে কমান্ড এলাকায় কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা পড়েছে বিপাকে। সূত্র মতে, এবারও চলতি মৌসুমে নদীর পানি হ্রাস পেয়ে চলেছে। ফলে তিস্তা ধূ-ধূ বালুচরে পরিণত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৪ সালে এই মৌসুমে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৬৫ হাজার হেক্টরে সেচ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
সেচ দেওয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ২০১৫-১৬ সালে সেচ প্রদান করা হয় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। তিস্তার নদীর পানিপ্রবাহ দিন দিন কমতে থাকায় এবার মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দিনাজপুর ও রংপুরের কমান্ড এলাকা সেচ কার্যক্রম থেকে বাদ দিয়ে শুধু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, সদর ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে সেচের আওতায় রাখা হয়েছে। তবে উজানের প্রবাহ পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে সেচের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে জানা গেছে।
তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমবে বাড়বে এটি স্বাভাবিক। এরপরও তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ কমছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সেচ প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কিউসেক পানি প্রয়োজন। অথচ গতকাল সকালে পানি পাওয়া গেছে মাত্র ৪০০ কিউসেক।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন/ কৃপ্র/এম ইসলাম