কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এনভাইরনমেন্ট প্রটেকশন এজেন্সি ইপিএ’র ওয়েবসাইট থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সংস্থার দু’জন কর্মকর্তা এ তথ্য রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বারাক ওবামা যেসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেসব কিছু বাতিল করে দেয়ার উদ্যোগে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প।
ওই দুই কর্মকর্তা জানান, গত মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি ইপিএ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এই পাতায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কার্বন নিঃসরণ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্তের বিভিন্ন লিংক রয়েছে। পাতাটি বুধবারের মধ্যে মুছে ফেলার কথা। তবে ইপিএ কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই পাতাটি সরিয়ে ফেলা হলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আমাদের যতো কাজ সব হারিয়ে যাবে।
কিছু কর্মকর্তা জানান, ইপিএ স্টাফদের অনেকে ওই তথ্যগুলো অন্য ওয়েবসাইটে সরিয়ে নেয়া বা অন্যভাবে কিয়দংশ সংরক্ষণের অনুমতি পেতে ট্রাম্প প্রশাসনকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ইপিএর কোনো কর্মকর্তাই নাম প্রকাশ করতে চাননি। আর এ ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনেরও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত সপ্তাহেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তথ্য প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা যাতে এসব তথ্যে প্রভাবিত না হন সে লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ। এরপরই ইপিএ এর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ এলো। গত নভেম্বরে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর ইপিএ এর অন্তর্বর্তীকালীন পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেছেন মাইরন এবেল। তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমার ধারণা, ওয়েবপেজগুলো নামিয়ে নেয়া হবে। তবে লিংক এবং তথ্যগুলো থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ওবামা পরবর্তী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য একটি টিম গঠন করেছে। এই টিমের বেশিরভাগ সদস্যই জ্বালানি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ওকলাহোমার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে স্কট প্রিটকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এই লোকটি ইপিএ এর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলায় লড়েছেন।
তাছাড়া ট্রাম্প ও রিপাবলিকান দল জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্বাস করেন না। তারা মনে করেন, এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য জীবাশ্মের ভালো বিকল্প নেই। উল্লেখ্য, ইপিএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ বিষয়ক একটি সরকারি সংস্থা। কংগ্রেসের আইন পাস সাপেক্ষে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সূত্র: রয়টার্স