কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শেরপুর সদর উপজেলায় মরিচ আবাদ বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৩০০ একর জমিতে মরিচ চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার মরিচের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। জানা গেছে, সদর উপজেলার বলাইয়েরচর, চরপক্ষিপামী, ঘুঘুরাকান্দি, চরমোচারিয়া, রৌহা ও লছমনপুরে আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কৃষকরা প্রতি একর জমি থেকে মাসে ৪০-৫০ মণ মরিচ সংগ্রহ করছেন। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
কৃষকরা জানান, মরিচ চাষ করে বেশ লাভ করা যায়, যা অন্য ফসল থেকে পাওয়া যায় না। প্রতি একর জমিতে মরিচ আবাদে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়। একবার রোপণ করলে চার-পাঁচ মাস পর্যন্ত মরিচ সংগ্রহ করা যায়। তারা জানান, মরিচ চাষে কীটনাশক ও সার অনান্য ফসলের চেয়ে কম লাগে। অনেকে নিজেদের তৈরি জৈব সার ব্যবহার করছেন। বলাইয়েরচরের চাষী ফজলুল করিম বলেন, এবার ৪২ শতাংশ জমিতে মরিচ আবাদ করেছি। মরিচ চাষ করে আমার মতো অনেকেই স্বনির্ভর হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, আগে সদর উপজেলায় ১০০-১৫০ একর জমিতে মরিচ আবাদ হতো। বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ৩০০ একর জমিতে মরিচ চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ফলন বাড়াতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য উপজেলায় কৃষকদের মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম