কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সাতক্ষীরা জেলায় রফতানিজাত বাগদা চিংড়ির উৎপাদন সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। গত বছর জেলার ছয় উপজেলায় ৫৯ হাজার ৬০০টি মত্স্যঘেরে রফতানিজাত বাগদা চিংড়ি চাষ হয়। সরকারিভাবে ২২ হাজার ২০০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৪৮৫ টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় চার হাজার টন বেশি। এ পরিমাণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কার্যালয়।
পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাক্তার আবুল কালাম বাবলা চিংড়ি চাষ করেন। গেল মৌসুমে ১ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। ৮-১০ বছরের মধ্যে তার ঘেরে সবচেয়ে বেশি চিংড়ি উত্পাদন হয়েছে গত মৌসুমে। তবে চাষীরা যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের মধ্যস্থতা ছাড়াই উৎপাদিত চিংড়ি বিক্রি করতে পারেন, সেজন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি ডাক্তার আবতাফুজ্জামান বলেন, গেল মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় বাগদা চিংড়ি খুবই ভালো উত্পাদন হয়েছে। তবে পরিকল্পিতভাবে চাষ করতে পারলে আরো ভালো উত্পাদন করা সম্ভব বলে জানান তিনি। আবতাফুজ্জামান আরো বলেন, চাষীরা ঘেরে সময়মতো সঠিক পরিমাণে পানি ওঠালে বা পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে চিংড়ি রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকবে। উত্পাদনও বাড়বে।
সাতক্ষীরা জেলা মত্স্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুর রব জানান, ২০১৬ মৌসুমে আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদা চিংড়ির চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যাছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। গত কয়েক বছর একই পরিমাণ পণ্য বিক্রি হয় ৫০০-৫৫০ টাকা দরে। চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় চিংড়ি উত্পাদনে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, গত মৌসুমে সাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম