কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী অঞ্চলে পতিত জমিতে মাসকলাই আবাদে উচ্চফলন পাওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশী। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত বারিমাস-৩ জাতের মাসকলাই’র ফলন একর প্রতি স্থানীয় জাতের চেয়ে বেশি। বারির বরেন্দ্র স্টেশন অব অন ফার্ম রিসার্চ ডিভিশনের (ওএফআরডি) উদ্যোগে পদ্মা ও মহানন্দার চর এলাকায় বিপুল জমি মাসকলাই আবাদের আওতায় এসেছে।
খরাপ্রবণ বরেন্দ্র এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের সহায়তার চর এলাকায় বারিমাস-৩ আবাদ জোরদারে কৃষক পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। ওএফআরডি বরেন্দ্র সেন্টারে প্রধান এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই এলাকায় মাসকলাই’র উচ্চ ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশী।
কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, মাসকলাই পতিত জমিতে চাষ করা হয়েছে। এতে তারা ওএফআরডি থেকে বীজ ও নির্দেশনা পেয়েছেন। বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মণ উৎপাদিত হওয়ায় কৃষকরা মাসকলাই আবাদ জোরদারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। চাষে বাড়তি খরচ তেমন নেই। বিঘা প্রতি প্রায় ৭৫০ টাকা খরচ করে কৃষকরা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। মাসকলাই চাষে সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম