কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল। বাংলাদেশ পৃথিবীর ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। এ দেশে ধানের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪.০১ টন। অথচ চীন-জাপানে তা ৫-৬ টন। ভাল জাতের ভাল বীজ, পরিমিত বয়সের চারা রোপণ, সুষম সার ব্যস্থাপনা, সমণ্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির মাধ্যমে এই ফলন তারতম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
জাতের বৈশিষ্ট্য : অধিক ফলন ও লাভের জন্য এলাকা ভিত্তিক চাষ উপযোগী সঠিক জাত নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাল বংশ ও মা ছাড়া যেমন ভাল সন্তান আশা করা যায় না তেমনি ভাল জাতের ভাল বীজ ছাড়া উত্তম ফসল পাওয়া যায় না। নানা জাতের বীজের মধ্যে তাই সঠিক জাতটি নির্বাচন করে চাষ করা একজন কৃষকের প্রাথমিক দায়িত্ব।
বর্তমানে বাংলাদেশে হাইব্রিড, উফশী ও নানা ধরনের আধুনিক জাতের ধান চাষ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। তবে কৃষকদের কাছে সব জাতের গ্রহণযোগ্যতা সমান নয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) থেকে উদ্ভাবিত এ পর্যন্ত চারটি হাইব্রিডসহ ৬৫টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তাছাড়াও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) থেকে ১৩টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো হলো-বিনাশাইল, বিনা ধান-৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪। এ ছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত দু’টি জাত বিএইউ ৬৩ (ভরসা) এবং বিএইউ ২ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নীচে এ দেশে ব্রি উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হল:
বিআর ১: বোরো ও আউশ মৌসুমে আবাদযোগ্য এ ধানের জনপ্রিয় নাম চান্দিনা । কোন কোন অঞ্চলে এ ধান ৫৩২ আবার কোথাও কেবল ৭৬ নামে পরিচিত । চান্দিনা একটি আগাম জাত ।
বিআর ২ : এ ধানের জনপ্রিয় নাম মালা । এ ধানের মুড়ি খুব ভাল হয়। মালা বোরো এবং রোপা আউশের একটি জাত।
কৃপ্র/এম ইসলাম