এসএম মুকুলঃ চা বোর্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিটিআরআই) বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে গুণগত মান বাড়িয়ে এ পর্যন্ত ১৮টি উচ্চফলনশীল ক্লোন অবমুক্ত করেছে, যাদের সম্ভাব্য গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৩ হাজার কেজির বেশি। এ ছাড়া বিটিআরআই থেকে আরও চারটি বাই ক্লোনাল এবং একটি পলি ক্লোনাল বীজ অবমুক্ত করা হয়েছে। চা উৎপাদন ও রপ্তানিতে একসময় সারাবিশ্বে শীর্ষ পাঁচ দেশের অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। দেশে চা পান করার ব্যাপকতা দ্রুত বাড়লেও উৎপাদনের গতি বাড়েনি। আশার কথা হলো গত দুই বছরে চা উৎপাদনে বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
এক বছরের ব্যবধানে দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ কেজি। জানা গেছে, ভারত ও চীনে হেক্টরপ্রতি চা উৎপাদন দুই হাজার কেজির বেশি। শ্রীলংকা, ভিয়েতনামসহ বিশ্বের বেশকিছু দেশ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে। দেশীয় বাগানগুলোয় হেক্টরপ্রতি চা উৎপাদন দীর্ঘদিন ১ হাজার ২০০ কেজির ঘরে থাকলেও গত বছর তা দেড় হাজার কেজি ছাড়ায়।
২০১৫ সালেও চায়ের হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ছিল ১ হাজার ২৭০ কেজি। ২০১৬ সালে এ পরিমাণ বেড়ে রেকর্ড ১ হাজার ৫৮৭ কেজিতে দাঁড়ায়। চা বোর্ডের বার্ষিক চা উৎপাদন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুন-অক্টোবর সময়ে দেশের ১৬২টি বাগান থেকে গড়ে ১০ মিলিয়ন কেজিরও বেশি চা উৎপাদন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে চা উৎপাদন অচিরেই ১০০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
লেখক : কৃষি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক এবং উন্নয়ন গবেষক।