কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শিমুল পত্রঝরা বড় আকারের কণ্টশাবৃত বৃক্ষ। শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বসন্তের শেষে গাছে নতুন পাতা গজায়। এশিয়ার উষ্ণাঞ্চল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার শিমুলের আদিনিবাস। বাংলাদেশের সর্বত্র কম-বেশি শিমুলগাছ দেখতে পাওয়া যায়। গাছে শাখা-প্রশাখা কম, সরল ও বৃত্তাকারে চারদিকে বিস্তৃত। বড় ও বয়স্ক গাছের গোড়ায় অধিমূল হয়।
গাছের কা- গোল, গাছের গায়ে, তরু, কাণ্ডে শাখা-প্রশাখায় কৌণিক আকৃতির বড় কাঁটা থাকে। গাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু, পরিবেশ প্রতিকূলতার মধ্যেও বছরের পর বছর টিকে থাকে। ফুল দেখতে মাইকের মতো, রক্তিম উজ্জ্বল ও গাঢ় লাল বর্ণের হয়। মাঘ মাসে গাছের শাখা-প্রশাখায় ফুলের কুঁড়ি দেখতে পাওয়া যায় এবং ফাগুন মাসে সারা গাছজুড়ে রক্তিম উজ্জ্বল লাল রঙের ফুলে ফুলে সব গাছ ভরে যায়।
ফুল ফুটন্ত শিমুল গাছ দূর থেকে দেখে চেনা যায় এবং মনে হয় যেন গাছে আগুন লেগেছে। ফল পাকে চৈত্র মাসে এবং ফলের ভিতর বীজ ও তুলা থাকে। পরিপক্ব ফল সঠিক সময়ে সংগ্রহ না করলে আপনা-আপনি ফেটে যায়। বীজের রং ধূসর বা কালো হয়ে থাকে। বীজের মাধ্যমে শিমুলের বংশ বিস্তার করা যায়। তাছাড়া ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমেও বংশ বিস্তার করা যায়। শিমুল কাঠের বহুবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া শিমুল গাছে উৎপাদিত তুলা বালিশ, তোষক তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম