কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রূপ মাধুর্যের গুণে প্রকৃতি পরিবেশ ও মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে বর্ণা ফুল । অঞ্চলভেদে বর্ণাকে কেউ কেউ ‘বরুন গাছ’ বলে ডাকে। বর্ণা গাছ শাখা প্রশাখা বিস্তৃত। বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে গাছের শাখা-প্রশাখায় থোকায় থোকায় ফুল ফোটে। সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ রঙের ফুল ও ফুলের শোভা সকলের নজর কাড়ে। ফুলের রং ফোটার সময় সাদা ও পরে হলুদ রং ধারণ করে। পাপড়ি চারটি, মাঝে পরাগ দণ্ড অবস্থিত, সঙ্গে লম্বা পুংদণ্ড বিদ্যমান। বর্ণা পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তে নতুন পাতা গজায়। পাতা গজানোর সময়ে গাছে ফুল-কলির আগমন হয় ও ফুল ফোটে।
বর্ণার আদিনিবাস ভারত, মায়ানমার, মালদ্বীপ ধরা হলেও বাংলাদেশে নদীর ধার, রাস্তা ধার, বাঁধের ধার, পুকুর পাড়ে এ ফুলগাছ দেখতে পাওয়া যায়। বর্ণা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু গাছ, প্রতিকূল পরিবেশে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। ফুল থেকে ফল হয়, ফলের আকার গোলাকার থেকে ডিম্বাকার, চামড়া খসখসে দেখতে কদবেলের চামড়ার মতো। ফলের বীজ ও শিকড় থেকে বংশ বিস্তার হয়। বর্ণার পাতা, ফুল ও বাকলের ঔষধি গুণ আছে।
বাংলাদেশের পরিবেশ প্রকৃতিতে নদীর ধার, রাস্তা ধার, বাঁধের ধার, পুকুর পাড়ে এ ফুলগাছ দেখতে পাওয়া যায়। বর্ণা অত্যন্ত কষ্টসহিষ্ণু গাছ, প্রতিকূল পরিবেশেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। ফুল থেকে ফল হয়, ফলের আকার গোলাকার থেকে ডিম্বাকার, চামড়া খসখসে দেখতে কদবেলের চামড়ার মতো।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম