কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সনাতন পদ্ধতিতে জমি চাষাবাদের ফলে জমির উর্বরতা কমছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে উৎপাদন খরচ। দেখা দিচ্ছে শ্রমিক স্বল্পতা। এসব সমস্যা সমাধানে সুরক্ষা কৃষি পদ্ধতি সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে স্বল্প চাষের মাধ্যমে লাভজনকভাবে ফসল ফলানো সুরক্ষা কৃষির মূল বৈশিষ্ট্য। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে কম খরচে বেশি জমি চাষের আওতায় এনে ক্ষুদ্র কৃষকগণ হেক্টর প্রতি ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারবে। ফসলভেদে ফলন বাড়বে প্রায় ৪০ শতাংশ, ফসল উৎপাদন খরচ কমবে ৫০ থেকে ৮৫ শতাংশ এবং শ্রমিক খরচ কমবে ১৫ থেকে ৫৫ শতাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এশিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য সুরক্ষা কৃষি পদ্ধতির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্সের (এসিআইএআর) অর্থায়নে গত এক দশকে এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
সম্মেলনে এশিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য সুরক্ষা কৃষিপদ্ধতির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় গবেষকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, শ্রমিক স্বল্পতা ও উৎপাদন খরচ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে। সম্মেলনে সুরক্ষা কৃষি বিষয়ে মোট ৫৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
অধ্যাপক ড. লুত্ফুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিআইএআর’র ড. ইভান, ড. ভাগ্য রানী বনিক, ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারে প্রতিনিধি ড. প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী প্রমুখ।
কৃপ্র/ এম ইসলাম