কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ফরিদপুরের মধুমতির বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চরে মাষকলাই আবাদে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। কম উৎপাতপাদন খরচ সেচও দিতে হয় না। তাই সামান্য পুঁজি নিয়ে এ ডাল উৎপাতপাদনেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন চরের কৃষকরা। শুধু ডাল নয়, মাষকলাই গাছের পাতা শাক হিসেবে ভাত বা রুটির সঙ্গে খেয়ে থাকেন চরের মানুষেরা। শীতের শুরুতে ডাল ঘরে তোলা হয়। এরপর গাছের লতা ও মূল ক্ষেত থেকে তুলে গবাদিপশুকে খেতে দেন। এ গোখাদ্য অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকদের কাছে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করেন তারা।
চরাঞ্চলের জমিগুলো বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে। বর্ষা শেষে জমিতে মাষকলাই আবাদ করেন। এজন্য জমিতে চাষ দিতে হয় না। নরম মাটিতে বীজ বপনের দিনকয়েকের মধ্যেই চারা গজায়। চরাঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা মাষকলাই। অল্প খরচে আবাদ করা যায়। সেচ বা চাষের পাশাপাশি সার ও কীটনাশকও লাগে না। তাই চরে মাষকলাই চাষ বাড়ছে। এবার চরের জমি বর্গা নিয়ে মাষকলাই আবাদ করেছেন চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলের বাসিন্দা আজগর শেখ। তিনি বলেন, ভালোই ফলন হয়েছে। ফলনের অর্ধেক জমির মালিককে দিতে হয়েছে। বাকি অর্ধেক দিয়ে নিজেরা সারা বছরের ডালের চাহিদা মেটাতে পারবেন।কলাইয়ের ভুসি গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়, জানালেন সালামত কাজী। ভুসি বিক্রি করেও আয় করেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুজন মজুমদার বলেন, ফরিদপুর জেলায় এ বছর ৫ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে মাষকলাই। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৪ টন। অল্প খরচে মাষকলাই চাষ করা যায় বলে চরাঞ্চলের মানুষ এর আবাদ বেশি করে থাকেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম