কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২৫টি ইট ভাটায় আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। এতে মাটির উর্বরা শক্তি কমে ফসল উত্পাদন কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রায়পুর উপজেলার চরবংশী, চরপাতা, কেরোয়া ও রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, চণ্ডিপুর, লামচর, ভাদুর ও দরবেশপুর ইউনিয়নের আবাদি জমির ওপরের অংশ এক থেকে দুই ফুট গর্ত করে কাটা হয়েছে। এসব মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও ট্রাকে বোঝাই করে ইট ভাটায় নেয়া হচ্ছে। এতে অন্য জমিসহ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিন ২৫টি ইট ভাটায় প্রায় ৫শ থেকে ৫৫০ ট্রলি মাটি প্রয়োজন হয় বলেও জানা গেছে।
রায়পুর উপজেলার ইট ভাটার মালিক ও অপর এক মাটি ব্যবসায়ী জানান, গত চার ও পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন কারণে জমি বেচা-কেনা কমে গেছে। ইট ভাটা ও নিচু জায়গা ভরাটে মাটির চাহিদা বেশি থাকায় তারা মাটি বিক্রির দিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। কারণ জমির চেয়ে মাটির দাম বেশি। তাছাড়া কৃষকরা জমির মাটি না বেচলে জোর করে মাটি নিতে পারতাম না আমরা। বর্তমানে জমি না বিক্রি করে মাটি বিক্রি করলে তাদের অভাব দূর হয়ে জমির জায়গায় জমি থেকে দুই ধরনের ভালো হয়।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, আইন অনুযায়ী ইট ভাটায় ফসলি জমির মাটি ব্যবহার করা যায় না। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির আহম্মেদ ও রামগঞ্জ উপজেলার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, কৃষকদের মাটি বিক্রি না করার বিষয়ে সচেতন করার পরও তারা কথা শুনছেন না। মাটি কাটা জমিতে আগের মতো উর্বরা শক্তি ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর এভাবে মাটি বিক্রি অব্যাহত থাকলে এক সময় ফসল উত্পাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম