কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি কৌশল বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন।দেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগের উপার্জন কোনো না কোনোভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। অথচ বাজেটে সেই কৃষি ও কৃষকের গুরুত্ব দেয়া হয় কমই বলে অভিমত দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ(সিপিডি)। সংগঠনটির মতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কৃষিতে সহায়তা দিন দিন বাড়ালেও, ঘোষিত বাজেটে দেশের প্রান্তিক কৃষক লাভবান হন সামান্যই। অধিকাংশ কৃষকই জানেন না, কী থাকছে তাদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে। বিশ্লেষকদের দাবি, উপযুক্ত নীতিমালা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রণোদনাসহ কৃষককে বাজেটের সুফল দিতে হবে । অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হারের (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট পেশ করেন, তাতে তিনি প্রবৃদ্ধির এই আশা প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় সার ও সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা বাবদ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং অনুন্নয়ন খাতে ১১ হাজার ৮৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কৃষি খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সরকার ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়। সার ও সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা বাবদ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলেও সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৪৫তম বাজেট অধিবেশনে তার উপস্থাপিত দশম বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতিকৌশলের প্রভাবে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, কৃষি উপকরণে প্রণোদনা প্রদান, সুষম সারের ব্যবহার নিশ্চিত করণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সেচ সুবিধার মাধ্যমে কৃষি জমির আওতা সম্প্রসারণ, কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, কৃষকদের ডাটাবেইজ তৈরিকরণ, কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষণ শস্য বহুমুখীকরণ, কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ সহায়ক পরিবেশ সৃজন, জৈব সারের উৎপাদন ও ব্যবহার উৎসাহিতকরণ ও বীজ সরবরাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেন।
কৃশি/এম ইসলাম