কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলার চরাঞ্চলে এবার কাঁচা মরিচ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। আর হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে । চরঞ্চলের কৃষক কৃষানীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেত থেকে মরিচ তুলে বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন । কাঁচা মরিচগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ।বর্তমান এক হাজার টাকা থেকে ১২’শ টাকা মন প্রতি এই হাজার হাজার মন কাঁচা মরিচ সরবরাহ করায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটছে ।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন,চরঞ্চলে এবার মরিচ চাষাঁবাদে ব্যায় খরচ থেকে অনেকটা লাভজনক। এদিকে কাচাঁ মরিচের মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ায় এখন কৃষকদের বাড়ির উঠানগুলে লাল (পাকা) মরিচে ঢাকা। কৃষক কৃষানিরা তাদের খেত থেকে এসব পাকা মরিচ তুলে বাড়ীর উঠান ও ঘরের চালে শুকানো হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চল কাওয়াকোলার চর, মেছড়ার চর,কাটাঙ্গা চর,গটিয়ার চর,রুপসার চর,আদনাদীঘির চর ও কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া,
যমুনা নদীর পূর্বপাশে অবস্থিত বিভিন্ন চরে এ কাঁচা মরিচের চাষাবাদের দৃশ্য চোখে পড়ে। এছাড়া, কাঙালেরর চরাঞ্চলের উৎপাদিত লাল মরিচই বগুড়ার লাল মরিচ নামে দেশের নামিদামি কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করে তা বাজারজাত করে আসছে বলে স্থানীয় কৃষবিদরা জানান। চাষীরা বলেন, এবার চরে ব্যাপক হারে মরিচ চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিও নেই। কাঁচা মরিচের দাম পেয়েছেন, তেমনি শুকনো মরিচের দামও পাবেন বলে আশা করছেন ।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজিজুল বলেন, উপজেলার চরঞ্চলে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষাবাদ করা হয়েছে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি হেক্টরে ১.৬ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হলে মোট ২ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম