কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের যমুনা নদী থেকে উত্তলিত বালু রফতানি হবে সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে।প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে হয়েছে ১ টাকা। সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, নৌ যান চলাচল প্রবাহ উপযোগী ঠিক রেখে এবং নদীর নাব্যতা যথাযথ রেখে যমুনা নদীর প্রস্তাবিত স্থান থেকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক আপাতত ৬ মাসের জন্য বালু উত্তোলন করা যাবে। তবে কোনভাবে পরিবেশের বিরূপতা পরীলক্ষিত হলে তা বন্ধ রাখতে হবে। মন্ত্রী জাতীয় স্বার্থে সময় দীর্ঘায়িত না করে যমুনা নদীর প্রস্তাবিত স্থানে নদী ড্রেজিং ও ড্রেজিংকৃত সাধারণ বালু প্রতি ঘনফুট বিদেশে ১ টাকায় রফতানিতে সংশ্লিষ্ট আবেদিত প্রতিষ্ঠানকে তৎপর থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লি. নিজ খরচে প্রাথমিকভাবে ২ বছরের জন্য যমুনা নদী ড্রেজিং এবং ড্রেজিংকৃত বালু সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে রপ্তানিকরণ বিষয়ে পানি সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে। তৎপ্রেক্ষিতে গতবছরের ১৮ অক্টোবর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে বালু উত্তোলন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ড্রেজিং লিমিটেড দ্বারা বিদেশে বালু রফতানির বিষয়টি জাতীয় বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা নদীর সংশ্লিষ্ট অংশে সম-মানের বালুর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়াদি বিবেচনা করে প্রতি ঘনফুট বালু কত মূল্য নির্ধারণ করা যায় তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ, চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ, ডিজি পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিজি-ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সিনিয়র পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৫ সদস্যের একটি টীম গঠন করে দেয়া হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি ঘনফুট বালুর মূল্য ১ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ / কৃপ্র/এম ইসলাম