কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি রবি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় সয়াবিন আবাদ হয়েছে ৫০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ২১৫ হেক্টর কম। কৃষকরা বলছেন, প্রয়োজনের সময় কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এতে অনেক সময় ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায় সয়াবিন। লোকসানে পড়েন তারা। এ অবস্থায় পণ্যটি চাষে অনেকেই আগ্রহ হারিয়েছেন।
কৃষি অফিস বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মাঠকর্মীরা পরামর্শ দিলেও নিয়ম মেনে সয়াবিন আবাদ করেন না কৃষক। তাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। গত মৌসুমে সয়াবিন চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার বাদাম আবাদ করেছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর সয়াবিনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষকরা জানান, সয়াবিন আবাদে খরচ কম, মুনাফা বেশি। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এ পণ্য আবাদে তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। জেলায় সয়াবিন প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনের দাবি তাদের অনেক দিনের। কারখানা স্থাপন করা হলে আরো লাভবান হতেন তারা। কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হতো এ অঞ্চলে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে ৫০ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, বীজ বপনের ৯৫ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে সয়াবিন ঘরে তোলা যায়। এ গাছ ৩০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ভালো ফলন পেতে কৃষি অফিস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন। চলতি বছর জেলার কিছু কৃষক বাদাম আবাদে ঝুঁকেছেন। তাই কম জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে।
সুত্রঃ বনিক বার্তা / কৃপ্র/এম ইসলাম