কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে ইলিশ অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে বাঙালির রসনা মেটানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন তথা সার্বিক অর্থনীতিতে একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আজ শনিবার থেকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ শুরু হচ্ছে।‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মত এবারও ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের বিশাল উপকূলসহ মোহনায় ইলিশের বিচরণ। ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে বংশবিস্তার করলেও তাদের পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে আমাদের সহযোগিতা অপরিহার্য। কারণ আজ যা ‘জাটকা’ আগামীতে তা দৃষ্টিনন্দন রূপালি ইলিশ। এ কারণে জাটকা ইলিশ ধরতে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশবাসী ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালনের সুফল পেতে শুরু করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় এবারের প্রতিপাদ্য ‘জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ক্ষতি করবো না’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ইলিশের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে জাতীয়ভাবে জাটকা সংরক্ষণ একটি জনমুখী কার্যক্রম।
তিনি এ গণমুখী উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম, সাধারণ জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী ও জেলে সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন,অন্যান্য বছরের মত এবারও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ সফল ও সার্থক হয়ে উঠবে-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
তিনি ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম