কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে যমুনা নদী্র চরে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। দিগন্তজোড়া ভুট্টার সবুজ মাঠে সবুজের সমারোহ। আর কদিন পরেই ঘরে উঠবে সোনালি স্বপ্ন ভুট্টা। কৃষকের মুখে তাই ফুটে উঠছে মুক্তোঝরা হাসি। চরাঞ্চলে সরেজমিনে দেখা যায়, গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী এই চারটি ইউনিয়নে রয়েছে সুবিশাল চরাঞ্চল। যা এক সময়ে ছিল অনাবাদি ও পতিত জমি যেখানে এখন হয়েছে ভুট্টাচাষ।
ভুট্টার গাছের পাতা ও ভুট্টা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আর বাড়তি ভুট্টা যাচ্ছে মৎস্য ও পোল্ট্রি ফিড কারখানায়। ভূঞাপুরের ভুট্টার মুক্তবাজার সৃষ্টি হয়নি উল্লেখ করে গাবসারা চ-ীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, চরাঞ্চলের এক বিঘা জমিতে ধান করলে বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ মণ ধান হয়। অন্যদিকে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ মণ। চর গাবসারা গ্রামের সুরুজ মিয়া জানান, এ অঞ্চলে ধানের চেয়ে ভুট্টাচাষে খরচ ও ঝুঁকি কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, কৃষকদের ভুট্টাচাষে আগ্রহী করতে কৃষি ক্লাবের মাধ্যমে ভুট্টা ছাড়ানোর জন্য কৃষকদের স্বল্প ভাড়ায় মেশিন দেয়া হবে। খামার যান্ত্রিককীকরণের মাধ্যমে কৃষকদের ৫০% কম মূল্যে কৃষিযন্ত্র প্রদান করা হবে।