কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে গ্রামের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর এ কাজ করার সুবিধার্থে তারা উচ্চহারে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অনেককেই সর্বস্বান্ত হতে হয়। কৃষকদের দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে রক্ষা করতে ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় চালু করেছে ‘এ-কার্ড’ যা কৃষকদের সহায়তা করবে।
‘এ-কার্ড’-এর মাধ্যমে কৃষকরা স্বল্পসুদে ও সহজে ঋণ উত্তোলন করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা উপকরণ কিনতে পারবে। ফলে চাষাবাদ আরও সহজ হবে এবং উৎপাদন বাড়বে। জানা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ কার্যক্রম প্রকল্প দরিদ্র কৃষকদের ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের ওপর একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, উচ্চহারে সুদ ও ঋণ পরিশোধের পর্যাপ্ত সময় না থাকায় দরিদ্র কৃষকরা আরও দরিদ্র হয়ে পড়ছে এবং নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এসব ঋণসংক্রান্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে, কৃষিপ্রযুক্তি ও উপকরণ খাতে কৃষকের বিনিয়োগ বাড়াতে ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ সহযোগিতা কার্যক্রম প্রকল্প ব্যাংক থেকে দরিদ্র কৃষকের কৃষিঋণ গ্রহণের সুযোগ নামে একটি কার্যক্রম চালু করে। যা সংক্ষেপে ‘এ-কার্ড’ নামে পরিচিত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে ঢাকা আহসানিয়া মিশন, কারিগরি সহায়তায় রয়েছে কেয়ার বাংলাদেশ ও অ্যাম্পায়ার।
‘এ-কার্ড’ যাত্রা শুরু করে গত বছরের আগস্ট মাসে। যেসব কৃষকের জমির পরিমাণ ১ হেক্টরের নিচে শুধু তারাই ‘এ-কার্ড’ পাওয়ার যোগ্য। এ ক্ষেত্রে তারা ১০% সুদে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন যা ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো সময় কৃষক পরিশোধ করতে পারবেন অনায়াসে। অন্য ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোয় সুদের পরিমাণ এর চেয়ে আড়াই থেকে তিনগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
ঢাকা আহসানিয়া মিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. এম এহসানুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। এটি অনেকটা ডেবিট কার্ডের মতো। এ-কার্ড মূলত এক বছরমেয়াদি। এটি নবায়ন করেও ব্যবহার করা যাবে। এ কার্ডটি চালু করা হয়েছে মূলত কৃষককে কৃষি কাজে সহজ ও ঝামেলাহীন উপায়ে ঋণ সুবিধা দিতে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/ এম ইসলাম