কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আজ ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস বা আন্তর্জাতিক নদী রক্ষায় করণীয় দিবস। এটি একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠান। সারা বিশ্বে বেসরকারি পর্যায়ে পালিত হয়ে আসছে। নদীর প্রতি আমাদের করণীয় কী? নদী রক্ষায় আমাদের কী দায়িত্ব, কতটুকু দায়বদ্ধতা? এটি উপলদ্ধি ও স্মরণ করিয়ে দিতেই এমন দিবস পালনের সূচনা।
প্রসঙ্গত,একসময় বাংলাদেশে ১২শ’ চলমান নদীর নাম পাওয়া যেত, যা বর্তমানে ২শ’র বেশি হবে না। শীতকালে চলমান নদীর সংখ্যা কমে ৬০-৬৫ টিতে নেমে আসে। নদীর এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের সামগ্রীক পরিবেশের উপর চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৬ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার নদীপথ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে মৃতপ্রায় নদীগুলো পুনরুজ্জীবিত করা অতি জরুরি।
নদী দিবসকে উপলক্ষ করে রংপুর অঞ্চল থেকে দাবি উঠেছে তিস্তাকে জাতীয় নদী ঘোষণার। উজানে বাঁধ নির্মাণ করে ভারত একতরফাভাবে পানি আটকে রাখায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১০০টির মতো নদী বিশ্বের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তিস্তার জীবন-মৃত্যুর উপর নির্ভর করছে প্রত্যক্ষভাবে ২ কোটি ও পরোক্ষভাবে ৫ কোটি মানুষের বাঁচা-মরা। উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোতে পানি না থাকায় মরু করণের দিকে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চল।
ময়মনসিংহের ঐতিহ্য ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশাল এই নদটি বহুদিন থেকেই চর পড়ে পড়ে এখন প্রায় মৃতরূপ ধারণ করেছে। শীতে পানি থাকে খুবই কম, আর পলি জমে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষায় পানি উপচে আশে পাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এদিকে বেদখল হয়ে গেছে নদী সংলগ্ন অনেক জমি। দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনও চলছে। ফলে হুমকির মুখে ব্রহ্মপুত্র সেতু, সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ শহরও। অপরদিকে নাব্যতা কমে যাওয়ায় ব্রম্মপুত্রে স্টিমার, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদই নয়, পলি জমে ময়মনসিংহ জেলার ৩৮টি নদ-নদীই প্রায় মরতে বসেছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম