কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ২৮ হাজার ৩শ’ ৬৯ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ৩শ’ ৬৯ টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে: যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা। আবাদকৃত জমির মধ্যে যশোর জেলায় ৪ হাজার ৪শ’ ৯৫ হেক্টর, নড়াইলে এক হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর, ঝিনাইদহে ৪ হাজার ৫শ’ ৪১ হেক্টর, মাগুরায় ৪ হাজার একশ’ ৫৫ হেক্টর, কুষ্টিয়ায় ৪ হাজার ২শ’ ৫৫ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গায় ৬শ’ ৬০ হেক্টর, মেহেরপুরে ২শ’ ৫৮ হেক্টর, সাতক্ষীরায় ৭শ’ ৬০ হেক্টর, বাগেরহাটে ৩শ’ ৬০ হেক্টর ও খুলনা জেলায় ৭ হাজার ২শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, তিল একটি সহজলভ্য কৃষি ফসল। তিল চাষে কৃষকদের তেমন কোন খরচ নেই। কোন ধরনের ঝামেলাও পোহাতে হয়না। এছাড়া তিলের তেল পুষ্টি সম্মৃদ্ধ ভোজ্য তেল। এ কারণে প্রতিবছর এ অঞ্চলে তিল চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অঞ্চলে তিলের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের তিল চাষী সরদার আমিরুল ইসলাম বাসসকে জানান, তিল উৎপাদনে জমির তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। একবার বীজ বপন করলে চারা গজানোর পর তিলগাছ আপনা আপনি বাড়তে থাকে। তেমন কোন সার, ওষুধের প্রয়োজন হয়না। এবার তিনি দু’একরের বেশি জমিতে তিল চাষ করেছেন। এখন চলছে জমি থেকে তিল কাটার মৌসুম। তিল কাটার পর অব্যাহতভাবে কয়েকদিন বৃষ্টি হতে থাকলে, তিলে পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে বলে তিনি জানান। কুমড়ী গ্রামের গৃহবধূ হেলেনা বেগম জানান, বোরো ধানের নতুন চালের সাথে তিল মিশিয়ে হরেক রকম সুস্বাদু পিঠা তৈরি করা যায়। তিলের পায়েস ও নাড়– খুব জনপ্রিয় বলে তিনি জানান।
সুত্রঃ বাসস