কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মুকুল আসার সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও এবার খাগড়াছড়িতে লিচুগাছে মুকুল আসেনি। ফলে চলতি মৌসুমে জেলায় লিচু উৎপাদন ব্যহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মুকুল না আসার জন্য বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করছে কৃষি বিভাগ। খাগড়াছড়ির এক হাজারের বেশি মানুষ লিচু চাষের সঙ্গে জড়িত। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় জাত ছাড়াও চায়না-২, চায়না-৩, মুম্বাই ও বেদানা জাতের লিচুর চাষ হয়েছে।
সাধারণত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে লিচুগাছে ফুল আসে। মে ও জুনে লিচু সংগ্রহ করা যায়। তবে সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে লিচুগাছে কোনো মুকুল দেখা যায়নি।চাষীরা জানান, বিষমুক্ত ও সুমিষ্ট হওয়ায় সুবাদে সারা দেশে খাগড়াছড়ির লিচুর ব্যাপক চাহিদা আছে। গত বছর জেলায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছিল। ওই সময়ে প্রতি শ দেশী লিচু ৪০-৫০ টাকা এবং চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচু ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু মুকুল না আসায় চলতি মৌসুমে লিচু উত্পাদনে ধস নামতে পারে। এতে আগাম জাতের লিচুচাষীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
খাগড়াছড়ির নয় মাইলের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর লিচুগাছের পরিচর্যায় অনেক টাকা খরচ করেছি। কিন্তু একটি গাছেও মুকুল আসেনি। সমীর সুজন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়ে এবার আগাম লিচুর বাগান কিনেছি। প্রায় সাড়ে চারশ লিচুগাছের পরিচর্যা করতে গিয়ে আরো প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু একটি গাছেও মুকুল আসেনি।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণত শীত বেশি পড়লে লিচুগাছে ফলন ভালো হয়। বৈরী আবহাওয়ায় এর ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এবার শীত কম ছিল তাই মুকুল আসেনি খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। তবে শীত কম পড়ায় লিচুগাছে যথেষ্ট পরিমাণ কার্বন জমা হয়নি। এ কারণে গাছে মুকুল আসেনি।
সুত্রঃ বনিক বার্তা / কৃপ্র/এম ইসলাম