কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শীতের শেষে বসন্ত ঋতুতে গ্রামবাংলায় মান্দার ফুল দেখা যায়। কয়েক প্রজাতির মান্দার আছে আমাদের দেশে। তবে যে প্রজাতিটি দক্ষিণবঙ্গের মানুষের কাছে অতিপরিচিত,সেটি হলো কাঁটা মান্দার। এটি বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, কক্সবাজার,নোয়াখালী ও গঙ্গার নিম্ন এলাকায় বেশি দৃশ্যমান।
মান্দার বুনো গাছ। তাই যত্ন করার প্রয়োজন হয় না। পানির কাছের ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠে। কেটে না ফেললে অনেক বছর বাঁচে। আবার ডাল কেটে লাগালেও গাছ হয়। স্বাদু পানি ও জোয়ার-ভাটা এলাকায় ভালো এ গাছ জন্মে। বেড়া দিতে,জ্বালানি কাঠ হিসেবে পুকুর কিংবা নদীর অগভীর অংশে মান্দার গাছের ডাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য আবাস তৈরি করা হয়।
মান্দারগাছের কাণ্ডের গায়ে ঘন ও প্রচুর কাঁটা থাকে,আবার কোনোটির কাণ্ডে কাঁটার পরিমাণ কম। ফাল্গুন মাসে শালিক পাখি বাসা তৈরির জন্য এ গাছটিকে বেছে নেয়। কাঁটার ভয়ে গায়ের দুষ্ট ছেলের দল গাছে উঠতে পারে না। কাঁটা মান্দার ফুল গ্রামের কিশোর-কিশোরীদের কাছে অতি প্রিয়। পাকা তেঁতুল, সরিষার তেল ও মান্দারের লাল ফুল চটকিয়ে এক প্রকার চাটনি তৈরি করা হয়, যা ‘তেঁতুল বানানি’ নামে বরিশাল এলাকায় পরিচিত। ফুলের পাপড়ির রং টুকটুকে লাল।
মেহগনি, শিশুসহ আগ্রাসী প্রজাতির গাছের কারণে এ গাছ ধীরে ধীরে গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া ইটের ভাটায় কাঠের জোগান ও দেশলাই তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পরিণত বয়সের মান্দার দেখা ভাগ্যের ব্যাপার।
কৃপ্র/ এম ইসলাম