কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীর সারদায় নারিকেলের মালই দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের বোতাম। বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা ও বুটিক হাউসেও বাড়ছে এই বোতামের চাহিদা, যাচ্ছে বিদেশেও। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোন সহযোগিতা না থাকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে না।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদা থানাপাড়ায় সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে নারী উদ্যোক্তা সিমুর বোতাম কারখানা। কুষ্টিয়া, খুলনা ও বাগেরহাট থেকে আনা হচ্ছে বোতামের কাঁচামাল, নারিকেলের মালই। গ্রামের নারীদের দক্ষ হাতে সে মালই রূপ নিচ্ছে টুকরো টুকরো বোতামে।
ঢাকা, রাজশাহীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসসহ, বিদেশি বাজারেও চাহিদা বাড়ছে এই বোতামের। আকার ভেদে প্রতি হাজার বোতাম বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। আর এ ক্ষুদ্র শিল্পকে ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে গ্রামের প্রায় শতাধিক নারীর। তবে বাজারের চাহিদা পূরণে শিল্পের সম্প্রসারে আবেদন করেও নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। সাথে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোক্তারা পাচ্ছেন না সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা। এ সঙ্কট কাটাতে বাজার সম্প্রসারণসহ সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন ব্যবসায়ী নেতারা।
রাজশাহী নাসিব-এর সহ-সভাপতি সায়মা সামাদ বলেন, ‘তারা হয়তো অনেক সহযোগিতা পাচ্ছে না বা জানে না। তারা যদি আমাদের কাছে আসে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করব।’ রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের শিল্প উন্নয়ন স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মো. রেজাউল রহমান বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটিতে অনেক দক্ষ ব্যক্তি আছে। প্রয়োজনে তাদেরকে নিয়ে মিটিং করে তার (সিমু) শিল্প উন্নয়নে সব রকম সহযোগিতা করব।’ থানা পাড়ার এই বোতাম কারখানাটি থেকে মাসে ১০ লাখ বোতাম উৎপাদন হচ্ছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কৃপ্র/এম ইসলাম