কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক শিলা-বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের চন্দ্রদ্বীপসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকশ হেক্টর জমির তরমুজ, বাঙ্গি ও ক্ষীরা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ, বাঙ্গি ও ক্ষীরা পঁচে যাচ্ছে। ফসলের এমন ক্ষতি হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পরেছে। ১৮টি চর নিয়ে গঠিত এ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার পর তরমুজ গাছ হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে এবং তরমুজে পঁচন ধরেছে।
কৃষকদের অভিযোগ বৃষ্টিতে তরমুজ, বাঙ্গি ও ক্ষীরার ওপর এমন দুর্যোগ ঘটে গেলেও কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্টদের মাঠে দেখা যায়নি। ফলে তারা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও ওষুধ ব্যবহার করছেন। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে তরমুজ গাছ চাঙ্গা করতে লোকজন নিয়ে ড্রামভর্তি পানিতে হরমোন (সিনজেনটার গ্রোজিন, ম্যাগমা) ও ওষুধ মিশিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু রোদ ওঠার পরপরই তরমুজ গাছ বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত কৃষক তরমুজ, বাঙ্গি ও ক্ষীরার চাষ করেছিলেন। একই অবস্থা পার্শ্ববর্তি দশমিনা, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আবাদি তরমুজসহ বিভিন্ন প্রকার রবি ফসলের। বাউফল কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাঠে নেই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফ্যালন, মুগ, ভূট্টা, খেসারি, আলু, চিনাবাদাম, মরিচসহ বিভিন্ন রবি ফসলের সঙ্গে ৭৫ হেক্টরে ক্ষীরা, ৮০ হেক্টরে বাঙ্গি ও ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে ক্ষেতের পানি নিস্কাশনসহ চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম