আজ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বাস্তবতায় তাপমাত্রাকে স্থিতাবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সম্মিলিত চেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা এবং সমুদ্রের উপরিতলের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো চরম ঘটনাগুলোর সংখ্যা, তীব্রতা ও মাত্রা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৩ জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ঘাত মোকাবিলায় জরুরি কার্যক্রম গ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানভিত্তিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর তথ্য এবং ভবিষ্যৎ দৃশ্য রূপায়ন, ঋতুভিত্তিক পূর্বাভাস এবং স্বল্পকালীন পূর্বাভাস সময়মত জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে আদর্শ মানসম্পন্ন সেবা প্রদান করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেঘমালাকে অনুধাবন’। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার কোন রাজনৈতিক বা ভৌগলিক সীমারেখা নেই। বিশ্বের কোন অংশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাস প্রস্তুতি নির্ভর করে ঐ জায়গা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জায়গার অন্তর্নিহিত আবহাওয়া তথ্য প্রাপ্তির ওপর।
বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের ফলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আয়োজিত কর্মসূচিসমূহে অব্যাহত ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া এবং জলবায়ু সেবা’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য আবহাওয়া ও টেলিযোগাযোগের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহয্যে উন্নত আবহাওয়া ও জলবায়ুর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া।’
তিনি আশা করেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আধুনিকায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহ একটি কার্যকরী আগাম পূর্বাভাস ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এটি আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম