কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পৃথিবীর অনেক দেশেই বোকা অর্থে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত ছাগল নামক প্রাণীটির নাম। আমাদের দেশে অপমানের মাত্রা তীব্র করতে প্রাণীটির নামের আগে ‘রাম’ প্রত্যয়টি যুক্ত করে উচ্চারিত হয় ‘রাম ছাগল’। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে, মানুষের কাছে ছাগলের এই ভাবমূর্তি কতটা ন্যায্য? ছাগল কি আসলেই বোকা? গবেষকেরা বলছেন ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পোষা কুকুরের মতোই ছাগল মানুষের সঙ্গী হওয়ার যোগ্যতা রাখে। অন্য পোষা প্রাণীর মতো ছাগল মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের যোগ্যতা রাখে। এমনকি কুকুরের মতোই ছাগল মানুষের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়তে সক্ষম ছাগল ।
ছাগল নিয়ে এ গবেষণাটি করেছেন লন্ডনের কুইনস মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল সায়েন্সের গবেষকেরা। তাঁরা দেখেছেন, যে সমস্যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়, এমন কোনো সমস্যায় পড়লে ছাগল মানুষের দিকে তাকিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ব্যক্তির আচরণে তাদের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তন হয়। গবেষকেরা বলেছেন, আগে যা ধারণা করা হতো, ছাগল তার চেয়ে বুদ্ধিমান এবং এই প্রাণী পোষ মানা গৃহপালিত অন্য পশুদের মতোই আচরণ করে থাকে।
গবেষকেরা আরও বলেছেন, অনেক আগে করা তাঁদের গবেষণাতেই তাঁরা প্রমাণ পেয়েছিলেন যে বুদ্ধির দিক থেকে ছাগলের যে ভাবমূর্তি প্রচলিত রয়েছে, প্রাণীটি তার চেয়ে বুদ্ধিমান। কুকুরের মতো পোষা প্রাণী না হওয়া সত্ত্বেও ছাগল তার মালিকের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ ও ভাব বিনিময় করে, তা পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকেরা। বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অ্যালান ম্যাকএলিগট বলেন, মানুষের একেবারে প্রথম গৃহপালিত পশু হলো ছাগল। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে থেকে মানুষের গৃহে ছাগল পোষা হচ্ছে।
গবেষক ক্রিশ্চয়ান নাওরথ বলেন, ‘আমরা জেনেছি যে কিছু ক্ষেত্রে ছাগল কুকুরের মতোই বুদ্ধিমান। তবে কুকুর নিয়ে যতটা গবেষণা হয়েছে, ছাগল নিয়ে ততটা হয়নি। আমরা ছাগল সম্পর্কে কেবল প্রাথমিক তথ্যই জানতে পেরেছি। তবে কি ভবিষ্যৎ পোষ্য হিসেবে ছাগল কুকুরের স্থান দখল করতে যাচ্ছে?
সুত্রঃ প্রথম আলো / কৃপ্র/এম ইসলাম