কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাত্ করে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো ধান ক্ষেতে ব্যাপক হারে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফসল রক্ষা করতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাক নাশক ওষুধ কিনে ধান ক্ষেতে স্প্রে করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা।
বুধবার দুপুরে উপজেলার গোলনা গ্রামের বর্গা চাষি মফিজুর রহমান খান বলেন, এক একর জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ করেছিলাম। ২-৩ দিন আগে ক্ষেতে এসে দেখি ধানের শিষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। তাত্ক্ষণিকভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সানফাইটার নামক ওষুধ ধান ক্ষেতে স্প্রে করতে বলেন। কিন্তু স্প্রে করার পরও কোনো কাজ হয়নি। বিলের অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের ধানে এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে টিপনা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, সিঙ্গা বিলের অধিকাংশ ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ায় ধানের শিষ শুকিয়ে চিটে হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ভোরে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন, মাঝে মধ্যে আকাশ মেঘলা থাকার পর বৃষ্টির কারণে বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়াই এ রোগের মূল কারণ।
সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ৭০-৮০ হেক্টর বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
বুধবার খুলনা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস ও উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ উপজেলার শলুয়া, মাধবকাঠি, টিপনা, আঙ্গারদহ, ডোংরা বিল, গোবিন্দকাটি, আঠারো মাইল এলাকায় কৃষকদের সঙ্গে মাঠ সমাবেশের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে রোগ দমনের জন্য ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের সানফাইটার, ট্রুপার, ফিলিয়া, স্টেনজা, টর্নেডো নামক ওষুধ ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম /