কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দিন দিন আকর্ষণ হারাচ্ছে রংপুরের শ্যামা সুন্দরী পার্ক। এক সময় শ্যামা সুন্দরী খাল ঘিরে নির্মিত পার্কটিতে একসময় সবুজের সমারোহ দেখা গেলেও, এখন তা বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। ময়লা জমে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালটির সঙ্গে পয়োনিষ্কাশন সংযোগ থাকায় পার্কে ছড়িয়ে পরেছে দূরগন্ধ।, ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে রংপুর পৌর কর্তৃপক্ষ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর কেরামতিয়া মসজিদ ও জজকোর্টের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত শ্যামা সুন্দরী খালের পার্কটি নির্মাণ করে। ওই সময় ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্যের পার্কটির শোভাবর্ধনের জন্য দুটি আকর্ষণীয় ব্রিজ নির্মাণ ও ২০০ নারকেল গাছ লাগানো হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন কাজে জজকোর্ট ও জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে আগতদের কাছে এ পার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পার্কটি শুরুতে সবার কাছে জনপ্রিয় হলেও এখন অযত্ন অবহেলায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাতে পার্কে কোনো বাতি জ্বলে না। পাহারাদার না থাকায় এটি নেশাখোরদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পার্কটি নির্মাণের সময় তত্কালীন রংপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন আব্দুর রউফ মানিক। পার্কের এ দুরবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, সিও বাজারে খালের উত্সমুখে নিয়মমাফিক পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করলে খালে কোনো ময়লা জমবে না। এতে মশার উপদ্রব কমার পাশাপাশি পার্কটি দুর্গন্ধমুক্ত হবে। খালে পানি সরবরাহ ঠিক থাকলে পার্কের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আলাদা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে না। তিনি আরো বলেন, নগরায়ণের কারণে মানুষের ঘোরাঘুরির জায়গা কমছে। তাই স্থানীয়দের বিনোদনের জন্য পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পার্কটি যাতে আকর্ষণ না হারায়, সেজন্য সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পার্কের বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, শ্যামা সুন্দরী খাল পুনঃখননে অনিয়ম এবং নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আগে শ্যামা সুন্দরী খালের প্রস্থ ছিল ১০০ ফুটের বেশি। কিন্তু এখন তা সর্বোচ্চ ৫২ ফুট। সংস্কারের সময় অবৈধ দখলমুক্ত না করায় এ খাল নালায় পরিণত হয়েছে। তার পরও যদি খালটি নির্দিষ্ট নিয়মে খনন করা হতো, তাহলে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকত।
কৃপ্র/এম ইসলাম