কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নতুন ৩টি জাতের বিটি বেগুনের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), যা এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত ৯ জাতের বিটি বেগুনের মধ্যে সীমিত আকারে ৪ জাতের চাষাবাদ হচ্ছে। দেশে বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার কৃষক বিটি বেগুন চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিটি বেগুনের জাতসমূহ হাইব্রিড না হওয়ায় নিজেদের বীজ কৃষক নিজেরাই উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারছে। ফলে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিটি বেগুন বাজারজাতকরণে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে। তা কাটিয়ে উঠতে পুরোদমে কাজ চলছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বিটি বেগুনের গবেষণা অগ্রগতি শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তাদের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরি এমপি বলেন, বর্তমান সরকার যে কোন ধরণের উদ্ভাবনী বা প্রযুক্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত, যদি তা জনগণের জন্য ক্ষতিকর না হয়। আমরা কৃষকের লাভ দেখবো, কোন দেশ বা সংস্থার এজেন্ডা নয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে জিএমও প্রযুক্তির প্রসার ঘটে। আমরা বায়োটেকনোলজিরও প্রসার ঘটাতে চাই। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা হাইব্রিডের ব্যবহার শুরু করি। ফলে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পুরো দেশ সবজিতে সয়লাব। আর হাইব্রিড বীজ ব্যবহারের কারণেই দেশে উৎপাদন বেড়েছে। এটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। কারণ সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে আমাদের।
বিটি বেগুন নিয়ে সমালোচনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বিটি বেগুন নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ সময় নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তারপর আমরা এটা অনুমোদন দিয়েছি। বিটি বেগুন এখন কৃষকের মাঠে। সাড়ে ৫ হাজার কৃষকের ক্ষেতে এখন বিটি বেগুন উৎপাদন হচ্ছে। তারা ফলন কাজে অংশ নিচ্ছেন। যে কোন উদ্ভাবনী বা প্রযুক্তি মানুষের উন্নয়নের জন্য।
কৃপ্র/এম ইসলাম