কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান ডুবে গেছে। কোথাও হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে, আবার কোথাও বৃষ্টির পানি জমে বোরো ধানের এই সর্বনাশ হয়েছে। সিলেটে বিভাগে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট বিভাগের ২৮টি উপজেলায় এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত হয়েছে। ডুবে যাওয়া হাওরের বেশির ভাগ ক্ষেতে ধান দুধ অবস্থায় ছিল।
হবিগঞ্জের ৩টি উপজেলার প্লাবিত জমি থেকে পানি কমতে থাকলেও মৌলভীবাজারে দিকে পানি বাড়ছে। সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা ও সুনামগঞ্জ সদরের বিভিন্ন হাওর পানি বাড়ছে। একমাত্র বোরো ফসল রক্ষার জন্য ঐ সব এলাকায় আহাজারী চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটস্থ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, তারা পুরো বিষয়টি মনিটর করছেন এবং ভাঙাবাধ মেরামত করতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ টি হাওরে বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে সিলেটে ১২১ মিলি মিটার, সুনামগঞ্জে ১৩৪ মিলি মিটার, ও শেওলায় ১৪২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তিনি দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ভাটির দিকে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ভরে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিসহ আবহওয়া খারাপ যেতে পারে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, তিনি নিজে দিরাইর বরাম হাওরে বাঁধ রক্ষার কাজ তদারকী করেছেন।ডুবির খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ড. জয়া সেন গুপ্তা, এমপি মুহিবুর রহমান মানিকসহ অনেকেই সেখানে ছুটে গিয়ে বাঁধ রক্ষার কজের তদারকী করেন।
সিলেট বিভাগীয় কৃষি বিভাগ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেটের চার জেলায় মোট ২৭ হাজার ৬০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ১০ হাজার ১০৬ হেক্টর, সিলেটে ১৪ হাজার ৭৬৯ হেক্টর, হবিগঞ্জে ৩৫০ হেক্টর ও মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৮৩৫ হেক্টর বোরো জমি নিমজ্জিত হয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম