কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ তিস্তার বালুচরে মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, ভুট্টা সহ সহনশীল জাতের ফসল আবাদ করছে তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা। নীলফামারীর জলঢাকার চর হলদি বাড়ী ও ডিমলা উপজেলায় তিস্তায় জেগে ওঠা চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে অন্যান্য কৃষি ফসলের মধ্যে মিস্টিকুমড়ার চাষ করে তিস্তা পারে কৃষক-কৃষানিরীর মুখে হাসি ফুটেছে। গত বছরের তুলনায় তিস্তার ধু-ধু বালু চরে বেশি ভাগেই দেখা মিলে কুমড়ার ক্ষেত আর ক্ষেত। উপজেলা তিস্তা নদীর বালু চরে কুমড়ার হলুদ ফুলে নান্দনিক শোভায় মুগ্ধ কৃষক-কৃষানি। আর এ দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ায় মেঠো পথ দিয়ে চলা হাজারো মানুষ।
এবারে বালুচরে বাম্পার কুমড়ার ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার দৃশ্যের দেখা মিয়ে তিস্তার চরে। সরেজমিনে উপজেলা তিস্তা চর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যে বালুর চরে কোনদিন ভালোমত কোন ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি সেই খসখসে তপ্ত বালু চরে কুমড়ার চাষে হলুদ আর সবুজে ছেয়ে গেছে। চরের মাঝে লতাপাতা যুক্ত কুমড়া গাছে ডালে ডালে হলুদ আর বড় বড় মিস্টি কুমড়া যা বর্তমানে সকলের নজর কেরেছে।
এসব চরে কৃষক-কৃষানি কোন দিন ভাবতে পারেনি ধু-ধু বালু চরে ফসল ফলানো সম্ভব হবে। তবে এবারের মৌসমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের পরামর্শে কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় চলতি মৌসমে উপজেলায় কুমড়ায়র বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান জলঢাকা উপজেলার উৎপাদিত কুমড়া নিজ এলাকার চাহিদা পূরণ করে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। তিস্তা ও ভাবনচুরের গোলনা ইউনিয়নের চর এলাকার কৃষক রোস্তাম আলী ও কৃষানী অলিমা বেগম ও আব্দুল গফুর, জানান তাদের তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে সামান্য খরচে কুমড়ার বীজ রোপন করে কুমড়া বিক্রি করে ভালই আছেন তারা
কৃপ্র/এম ইসলাম