কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষি খামার করে গ্রামীন জনপদের নারীদের দারিদ্র্য জয়ের গল্প শুনতে এবং তাদের ভাগ্যবদলের চিত্র স্বচক্ষে দেখতে বাবুগঞ্জ সফর করলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী প্রিন্সেস ম্যারি। বুধবার বেলা পৌনে ১১ টায় সেনাবাহিনীর দুটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে প্রিন্সেস ম্যারিসহ তার ৩৭ জন সফরসঙ্গী বরিশাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসময় বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় ও স্থানীয় দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান।
ডেনমার্কের প্রিন্সেস ম্যারি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রকল্প এলাকা দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাকুদিয়া গ্রামের কৃষক মাঠ স্কুল, বিভিন্ন কৃষি খামার পরিদর্শনকালে রাজকুমারীর সঙ্গে ডেনমার্কের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মিসেস উল্লা টরনায়েস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মাইকেল উইনথার ছাড়াও রাজকুমারীর নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র, উন্নয়ন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ড্যানিশ সাংবাদিকসহ ৩৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল ছিলেন।
এরপর তিনি রাকুদিয়া গ্রামের পল্লী নারীদের সাথে কৃষক মাঠ স্কুলে এক মতবিনিময় শেষে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন খামার ও বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা তিনি গ্রামের নারী কৃষাণীদের সাথে আন্তরিক সময় কাটান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসময় ক্ষুদ্র কৃষি খামারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া বিভিন্ন নারীদের মুখে তাদের দারিদ্র্য জয়ের গল্প শোনেন ড্যানিশ রাজকুমারী।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডেনমার্কের রাজকুমারী প্রিন্সেস ম্যারি বলেন, পল্লী নারীদের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। বাড়িতে ক্ষুদ্র কৃষি খামার গড়ে তুলে তারা নিজেদের স্বাবলম্বী করার মাধ্যমে পরিবারের অভাব দূর করেছেন। নিজেদের সাহস, আত্মবিশ্বাস ও শ্রম দিয়ে দারিদ্র্য জয় করেছেন যা আজ সত্যিই উন্নয়নের একটি মডেল।
প্রিন্সেস ম্যারি বলেন, বাংলাদেশের সাথে উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে কাজ করছে ডেনমার্ক। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন বন্ধু হিসেবে সবসময় এদেশের পাশে থাকবে ডেনমার্ক।
কৃপ্র/এম ইসলাম