কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ক’দিন পরই পহেলা বৈশাখ। তাই সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার তাঁতিদের দম ফেলার সময় নেই। রাত-দিন পরিশ্রম করে তৈরি করছেন নানা নকশার বৈশাখী শাড়ি। এসব শাড়িতে নানা আলপনা, তালপাখা, বাঁশের বাঁশি, ঢাক-ঢোল, সানাই, গিটার, একতারা, দোতারা, ডুগি-তবলা, খেজুরগাছ, তালগাছ, কলস ও কুলাসহ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের নকশা ফুটিয়ে তুলছেন তাঁতিরা। এ বছর বউ কথা কও, বধূয়া, স্বর্ণলতা, চয়নিকা, প্রত্যাশা, সাদা-কালো, গোলাপ, নীলিমা, বৈচিত্র্য ও চৈতালী নামের শাড়িগুলো তরুণীদের মন কাড়বে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে তাঁত শিল্পের চরম মন্দার বাজারে হাত গুটিয়ে বসে থাকা তাঁতিরাও এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এসব বৈশাখী শাড়ি তৈরির কাজে। সংশ্লিষ্টরা জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হিন্দু-মুসলমান, দরিদ্র কিংবা ধনী সব শ্রেণী-পেশার মানুষ একদিনের জন্য হলেও প্রকৃত বাঙালি হওয়ার চেষ্টা করে। বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা-ইলিশ খাওয়ার পাশাপাশি পোশাক-পরিচ্ছদেও নিয়ে আসে বাঙালিয়ানা। শাড়ি তৈরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার সয়দাবাদ, রান্ধুনিবাড়ী, মাইঝাইল, মুলিবাড়ী, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী, বেলকুচি উপজেলার তামাই, বেতিল, সোহাগপুর, চন্দনগাঁতী ছাড়াও উল্লাপাড়ার বালসাবাড়ী ও কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে এখন বৈশাখী শাড়ি প্রিন্টের কাজ। সদর উপজেলার সয়দাবাদের তাঁতি শামছুল আলম বলেন, ‘নরসিংদীর বাবুরহাট এলাকা থেকে তারা গজ হিসেবে সাদা কাপড় কিনে এনে প্রিন্টিংয়ের কাজ করে বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করেন।
দীর্ঘদিন ধরে পহেলা বৈশাখকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের তাঁতিরা শাড়ি প্রিন্টিংয়ের কাজ করেন। তাঁত শিল্পের মন্দার বাজারে এ মৌসুমে ব্যবসাগুলো ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন তারা। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বৈশাখী শাড়ি তৈরির কাজে তাঁতিরা আরো এগিয়ে যাবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃপ্র/এম ইসলাম