কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এবারের মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ৬৩ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ৬ লাখ ৯১ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। ডিএই’র হার্টিকালচার বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বলেন, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার চাষিরা গত মাস থেকে পাটের বীজ বপন শুরু করেছে এবং এই মাসের শুরু থেকে বপন কার্যক্রমে চাষিদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার পাটকে জাতীয় কৃষি পণ্য ঘোষণা করায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক করার ফলে চাষিরা গত বছর থেকে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং গত বছর ভালো দাম পাওয়ায়া এবারের মৌসুমে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করবে এবং দেশে পাটের চাহিদা ও বিদেশে পাটজাত পণ্যের ব্যাপক রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
ডিএই সূত্র জানায়, এবারের মৌসুমে ৫ লাখ ৫৮ ৭শ’ ৭৫ লাখ হেক্টর জমিতে চাষিরা ৬ দশমিক ৪৬ বেল তোশা, ৪ হাজার ৮শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে ৪৪ হাজার ৬শ’ ৮০ বেল দেশি জাতের পাট চাষ করবে। এতোমধ্যেই চাষিরা ১৫ হাজার ১৬ জমিতে পাট বীজ বপন সম্পন্ন করেছে। চাষিরা বিএডিসি, বিভিন্ন সরকারী ও অনুমোদিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ সংগ্রহ করছে।
ব্রাক ইন্টারন্যাশনাল এর দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের উপদেষ্টা ড. এম এ মজিদ বলেন, চাষিরা ‘সিক্স লাইন পিক আপ জুট সিডিং’ পদ্ধতিতে প্রতি একর জমিতে মাত্র ২ কেজি বীজ ব্যবহার করে বিপুল পরিমান বীজ সাশ্রয় করতে পারে, যা সনাতন পদ্ধতিতে আড়াই থেকে সাড়ে ৩ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। ডিএই-র আঞ্চলিক অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম এবারের মৌসুমে ভালো ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করে পাটের ভালো ফলনের জন্য চাষিরা মাঠ কর্মীদের সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম