কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সরকার সবই করবে। যত দিন ঘরে ধান না উঠবে, তত দিন খাবার সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি মানুষকেও না খেয়ে মরতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া এটি রাষ্ট্রপতির এলাকা। তাঁর নির্দেশে সরকার সবকিছু করবে। কাজেই হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার প্রয়োজন হবে না।
পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতির চিত্র পরিদর্শন করতে মন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে এসে স্পিডবোট দিয়ে ইটনা ও মিঠামইনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শন করেন। এরপর মিঠামইনের আতপাশা এলাকায় এম এ গণি ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে মন্ত্রী ছাড়াও স্থানীয় সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বক্তব্য দেন। সাংসদ তৌফিক হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ১৬ লাখ টাকা ও আড়াই শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ আরও বাড়বে। এরপর মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ১৭০টি পরিবারকে বিনা মূল্যে ২০ কেজি করে চাল দেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। কিশোরগঞ্জে জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৭০ হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে পচে গেছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৬৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা। তবে ভুক্তভোগী কৃষকদের সূত্রে জানা যায়, এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম