কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জে প্রমত্তা যমুনায় ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ৫ দিন যাবত সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রচণ্ড স্রোত ও ঘুর্ণাবর্তের সৃষ্টির হয়ে সদর উপজেলার বাহুকা ও কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে শুভগাছা, বাহুকা এবং চরবাহুকা গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি যমুনায় বিলীন হয়েছে। বাহুকা পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে আশ্রিত মানুষ তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। অনেক দরিদ্র মানুষ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
বাহুকা পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল ধরেছে যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার ভোরে সরেজমিনে ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ভাঙ্গনপীড়িত অসহায় মানুষ তাদের ঘরবাড়ি জমিজমা হারিয়ে আহাজারি করছে। শুভগাছা বাহুকা এবং চরবাহুকা গ্রামের বাঁধের বাইরে থাকা দেড়শ ঘরবাড়ি গত ৩ দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের ভয়াবহতায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বাহুকা গ্রামের টুটুল, শফিকুল ইসলাম, চায়না খাতুন, সুফিয়া খাতুন, শহিদুল ইসলামসহ অনেক নারী-পুরুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সুফিয়া খাতুন জানান, গত ৩ দিন যাবত এই এলাকায় যেন ভাঙ্গন চলছে। আকস্মিক বড় বড় ফাটল ধরে ঘরবাড়ি নদীতে ধসে পড়ছে। অতীতে এমন ভয়াবহ ভাঙ্গন তারা দেখেননি। তারা জানান, ভাঙ্গনের খবর শুনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন প্রকৌশলী এসে দেখে গেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন ভাঙ্গন রোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, এই এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে জরুরী বরাদ্দের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে ই-মেইল বার্তা পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ / কৃপ্র/এম ইসলাম