কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ একটি বিশেষ পুষ্টিগুণে পাঙাশ অন্য মাছের চেয়ে এগিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি গবেষকেরা দেখেছেন, পাঙাশ মাছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড (বা ইনডিসপেন্সেবল অ্যামাইনো অ্যাসিড) অনেক বেশি। এ কারণে পাঙাশে থাকা আমিষের মান উন্নত।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, শস্যদানা, ফল বা সবজির চেয়ে উচ্চমানের আমিষ বেশি আছে মাছে। তাঁরা বলছেন, পাঙাশের মতো রুই ও তেলাপিয়াতেও উচ্চমানের আমিষ আছে। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড আমিষ তৈরির মৌলিক উপাদান। অ্যামাইনো অ্যাসিড কোষের দেয়াল তৈরি, দেহের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। জন্ম থেকে ৬ মাস, ৬ মাস থেকে ৩ বছর এবং ৩ থেকে ১০ বছর এই বয়সী শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অ্যামাইনো অ্যাসিডের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা আছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সুপারিশে বলা হয়েছে, এক গ্রাম আমিষে ২৭৭ মিলিগ্রাম অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকা উচিত। পাঙাশের প্রতি গ্রামে আছে ৪৩০ মিলিগ্রাম। জানার পর গবেষণার তথ্যকে নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন পুষ্টিবিদ অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার। কিছুটা সতর্ক অবস্থানে থেকে তিনি বলেন, ‘পাঙাশ অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করে, এটা ভালো কথা। এই তথ্য যেমন জানা দরকার, তেমনি পাঙাশে চর্বি বেশি, সেই সতর্কতাও থাকা দরকার।’ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের শুরুতে বলা হয়েছে, সমৃদ্ধ জৈব ও কৃষিবৈচিত্র্য থাকার পরও অপুষ্টি দেশের জন্য বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে আছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম