কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় উত্পাদিত মৌসুমী ফল তরমুজ বিক্রির অন্যতম মোকাম পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি। চলতি মৌসুমে জমে উঠছে তরমুজের ভাসমান হাট। স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট বন্দর সংলগ্ন কালিবাড়ি খালে সপ্তাহে দুইদিন সোম ও বৃহস্পতিবার বসে এ ভাসমান তরমুজের হাট। উপকূলীয় এলাকা থেকে চাষিরা ও এখানকার এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বিভিন্ন এলাকা থেকে তরমুজ কিনে এনে এই হাটে বিক্রি করে। দক্ষিণাঞ্চলের কলাপাড়া, মহিপুর, মুন্সিরহাট, কুয়াকাটা, রাংগাবালি, গোলখালী, চেংরাতলা, তালতলী, গলাচিপা, গাজীপুর, সোনাখালী, ধানখালী, বাদুরা, কুকুয়া, বাংলাবাজার, নলুয়াবাগি, কালাইয়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এ বছর প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগি গ্রামের চাষি মঞ্জুর হাসান জানান, এ বছর অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় অনেক চাষি খরচের টাকা ঘরে তুলতে পারবেন না। গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের দাম দ্বিগুণ হলেও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন চাষিরা।
মিয়ারহাট বন্দরের ভাসমান তরমুজ হাটে বড় সাইজের একশ তরমুজ ১৬/১৭ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের ১০/১১ হাজার টাকা, তুলনামূলক ছোট সাইজের তরমুজ চার/পাঁচ হাজার টাকায় এবং মিনি সাইজের তরমুজ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহে দুইদিন হাটে প্রায় ৬০/৬৫ লাখ টাকার তরমুজ পাইকারিভাবে বিক্রি হয় বলে জানা গেছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম