কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নড়াইলের নলদী ইউনিয়নের ২৩ গ্রামকে এখন সবাই চেনে উচ্ছেপল্লী হিসেবে। উচ্ছে/উস্তে চাষ করে প্রায় ২০ হাজার কৃষক পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ইউনিয়নে ২১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয় উচ্ছে সবজিটির। এ থেকে ফলন পাওয়া গেছে ৮৭৫ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে উচ্ছের বীজ বপন করা হয়। একটি স্থানে ছয়-সাতটি বীজ দেয়া হয়। বীজ বপনের প্রায় ১০ দিন পড়ে চারা গজায়। এরপর মাটিতে খড় বিছিয়ে দেয়া হয়।
কয়েকজন উচ্ছে চাষি জানালেন, প্রতিদিন কানাবিলের আশপাশে সকাল ১০টা নাগাদ উচ্ছের বাজার বসে। বেপারিরা এখান থেকেই পাইকারি দরে উচ্ছে কিনে নেন। গাছবাড়িয়া গ্রামের আরতী বলেন, এখানকার উচ্ছে যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
কানাবিলে গাছ থেকে উচ্ছে সংগ্রহ করেন লাকি। প্রতি কেজি তোলার জন্য ২ টাকা করে দেয়া হয়। ওই বিলের আরেক কর্মী সাবানা খাতুন জানান, এ অঞ্চলের প্রতিটি মাঠে অন্তত ৫০ নারী উচ্ছে তোলা ও বাজারজাতের কাজে নিয়োজিত। এছাড়া বীজ বপন, পরিচর্যার ক্ষেত্রে নারীদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
কৃষকরা জানালেন অন্যান্য সবজি ও ফসলের তুলনায় খরচ কম বলে কৃষকরা উচ্ছে চাষে ঝুঁকেছেন। মাত্র তিন থেকে চারবার সেচ দিতে হয়। খুব বেশি সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। তবে অতিবৃষ্টি, কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়া এজন্য ক্ষতিকর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপপরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে ২১০ হেক্টর জমিতে ৮৭৫ টন উচ্ছে হয়েছে। এর বেশির ভাগই নলদী এলাকায়। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় উচ্ছের আবাদ বাড়ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম