কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চলতি খরিপ মৌসুমে পাবনায় পাটের আবাদ শুরু হয়েছে। জেলার নয় উপজেলায় এবার ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬১ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।বিগত দিনে চাষীরা ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পাবনায় পাটের আবাদ কমে গিয়েছিল। কিন্তু পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ায় চাষীরা আবার পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে পাটের বস্তা ব্যবহারে সরকারি নির্দেশনার কারণে গম কেটে পাট আবাদ করছেন পাবনার চাষীরা। তবে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাবনায় ৪৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ হেক্টর জমিতে দেশী, ৩২৬ হেক্টর মেস্তা ও ৪২ হাজার ৫৯৫ হেক্টরে তোষা জাতের পাট আবাদ হবে। এসব জমি থেকে ৭৭৮ বেল দেশী, ২ হাজার ৭৩৮ বেল মেস্তা এবং ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৫ বেল তোষা পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সব মিলে পাট উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬১ বেল।
চলতি খরিপ-১ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পাট আবাদ হবে সুজানগরে, আনুমানিক ১০ হাজার ৬০০ হেক্টর। এ জমি থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৬৫ বেল পাট উৎপাদন হতে পারে। এছাড়া সদর উপজেলায় ৯ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭২০ বেল, আটঘড়িয়ায় ৪ হাজার ৭৬৬ হেক্টর থেকে ৫২ হাজার ৪২৩ বেল, ঈশ্বরদীতে ৫০৪ হেক্টর থেকে ৫ হাজার ৫৫১ বেল, চাটমোহরে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর থেকে ৭৩ হাজার ৪৩১ বেল, ভাঙ্গুড়ায় ১ হাজার ৬৫ হেক্টর থেকে ১১ হাজার ১৬৯ বেল, ফরিদপুরে ৬৯০ হেক্টর থেকে ৭ হাজার ৫১২ বেল, বেড়ায় ২ হাজার ২১০ হেক্টর থেকে ২৪ হাজার ৩১০ বেল ও সাঁথিয়ায় ৭ হাজার ২২০ হেক্টর জমি থেকে ৭৯ হাজার ৪২০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার বলেন, গত মৌসুমে জেলায় ৩৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়। আর এ থেকে পাওয়া যায় ৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৫ বেল পাট। চলতি খরিপ-১ মৌসুমে পাটের আবাদ ও উৎপাদন উভয়ই বাড়বে। পাবনা পাটচাষী সমিতির সভাপতি মো. শাহাদত হোসেন জানান, জেলায় মুখ্য পাট পরিদর্শকের একটি কার্যালয় থাকলেও সেটা কার্যত নিষ্ক্রিয়। এ কারণে পাটের আবাদ ও উৎপাদন কমে আসে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় পাটের আবাদ বাড়ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম