কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার দরিদ্র পরিবার বিশেষত পরিবারগুলোর নারীরা এই অঞ্চলে মোট ২ শ ১৪টি মুরগি পালনের খামার গড়ে তুলে আয়ের পথ সৃষ্টি করেছে। প্রায় ৭শ’ স্থানীয় সেবা প্রদানকারী (এলএসপি-স) মুরগি পালনকারীদের উৎপাদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছে। বিভিন্ন সরকারী উনিস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠান এ সকল সেবা প্রদানকারীদের বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে। তারা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্চ, নাটোর ও পাবনা জেলার ১৭টি উপজেলায় বসতবাড়িতে মুরগি পালনকারীদের জন্য প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে উৎপাদনকারীদের আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে।
মমিনুল ইসলামের স্ত্রী জামিল বেগম (৩৫) বসতবাড়িতে মুরগি পালন করে এখন দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জামিলা মুরগির খাবার, ওষুধ এবং বিক্রি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তিনি জানান, এবছর তিনি মুরগি ও ডিম বিক্রি করে ২১ শ টাকা আয় করেছেন। স্থানীয় জাতের মুরগির চাহিদা ও দাম অন্যান্য মুরগির চেয়ে বেশি। তিনি ২৫ জনের মুরগি পালন সংক্রান্ত একটি সমবায় সমিতি গড়ে তোলায় মুরগি পালন ও বিক্রি সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাও পাচ্ছে। জামিলা বেগমের মত অনেক দরিদ্র নারী মুরগি পালনের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জেসমিন আক্তার বলেন অনেক নারী মুরগি পালন করে তাদের দারিদ্র্য দূর করণের ব্যাপারে আশাবাদি।
তিনি বলেন, এ সকল সংঘবদ্ধ নারীরা তাদের ব্যবসা লাভজনক করতে এবং টেকসই করতে স্থানীয় সেবা প্রদানকারীদের (এলএসপি) কাছে আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। চারঘাট উপজেলার এলএসপি ফকরুল হোসেন বলেছেন, আমরা বিভিন্ন বেসরকারী কোম্পানীর সহায়তায় মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন বৈঠকের আয়োজন করেছি। প্রাণী পুষ্টিবিদ আজিজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠিন ও এনজিওর সহায়তায় অনেক দরিদ্র জনগোষ্ঠি বসতবাড়িতে মুরগি পালনে এগিয়ে আসছে, যা দারিদ্র্য নির্মূলের একটি লক্ষণ।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম