কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টানা বর্ষণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত ৫শ’ একর জমির তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েক কোটি টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তবে কৃষকদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে কৃষি বিভাগ বলছে ভিন্ন কথা। টানা বৃষ্টিতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগের দাবি।
প্রতি বছরই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ, বুরুয়া, হিজলবাড়ি, নলুয়া, চকপুকুরিয়াসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে তরমুজের আবাদ হয়। এ বছর সাড়ে ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে কৃষকেরা। ফলনও হয়েছিলো আশানুরূপ। এরেই মধ্যে জমি থেকে তরমুজ বিক্রিও শুরু হয়েছে। কিন্তু টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ তরমুজ ক্ষেত। এতে অপরিপক্ক তরমুজে দেখা দিয়েছে পচন। ফলে ক্ষেত থেকে কৃষকদের তরমুজ তুলে ফেলতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রবল বর্ষণে পানি জমায় গাছও মরতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভাল হয়েছিলো। তরমুজ বিক্রিও শুরু হয়েছে। এই টানা বর্ষণে অধিকাংশ কৃষকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা একটু দেরিতে আবাদ করেছেন তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বেশির ভাগ কৃষকেই ঋণ করে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। এ সময় সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা।
স্থানীয় কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেছেন, প্রতি বছর এ এলাকা থেকে প্রায় ১শ’ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়ে থাকে। অধিকাংশ কৃষক ব্যাংক, এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। টানা বর্ষণে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকদের বাঁচাতে জমিগুলোতে পাইপ ড্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেনে ইউপি চেয়ারম্যান। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিতে ২শ’ হেক্টর জমির অন্ততঃ ৫০ লাখ টাকার তরমুজের ক্ষতি হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম