কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসলহানি জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষত তৈরি করেছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যায় নষ্ট হওয়া ১০ লাখ টন ধান , ২ হাজার মেট্রিক টন মাছ ও ১১ হাজার ৩০৫ টন গোখাদ্যের বাজারমূল্য ধরে এই হিসাব বের করেছে হাওর অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম। হাওর নিয়ে কাজ করা ৩৫টি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ওই সংগঠনটি বলছে, মূলত সরকারি উৎস থেকে নেওয়া তথ্য নিয়ে তারা এই হিসাব তৈরি করেছে। তবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তারা যে তথ্য পেয়েছে, তাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার, অ্যাকশনএইড, অক্সফাম কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ওয়াটারএইড, সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজসহ (সিএনআরএর) ৩৫টি সংস্থা মিলে এই প্ল্যাটফর্ম গঠিত। সংগঠনগুলো হাওরকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলছে, সর্বাধিক জাতীয় গুরুত্ব দিয়ে হাওরের সংকট মোকাবিলায় সরকারের এগিয়ে আসা উচিত।
এদিকে গতকাল নতুন করে সুনামগঞ্জের শনির হাওরে বাঁধ ভেঙে ২২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত দাঁড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। তবে সব হারানোর কষ্ট আর ঘরবাড়ি হারানোর দুর্ভোগ অনেক দিন হাওরবাসীকে ভোগাবে, এতে সন্দেহ নেই কারও।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সরকার হাওরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে হাওরাঞ্চলের কৃষিঋণের সুদ মওকুফ এবং ঋণ আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাওরের কৃষকদের পরবর্তী ফসলের মৌসুমে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। হাওরে ধান নষ্ট হওয়ার ফলে দেশের মোট ধানের উৎপাদন কমবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় অন্য এলাকায় বোরোর উৎপাদন বাড়বে। তা ছাড়া হাওরের সংকট মোকাবিলার সামর্থ্য ও সর্বাত্মক চেষ্টা সরকারের রয়েছে।
সুত্রঃ প্রথম আলো/ কৃপ্র/এম ইসলাম