কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : শামুকের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী রাসায়নিক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেসব ক্যান্সারে কেমোথেরাপি দিয়েও ফল পাওয়া যায় না সেসব ক্যান্সার নিরাময়ে এবার ব্যবহৃত হবে শামুক। আর তাই এবার শামুকের আশ্রয় হচ্ছে গবেষণাগারে। হোয়াইট রক প্রজাতির এই সামুদ্রিক শামুকগুলো বেশ কয়েক বছর ধরেই গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। গত এক দশক ধরে ক্যান্সারের নতুন চিকিৎসায় শামুক ব্যবহারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীর দাবি- সামুদ্রিক এসব শামুকের ডিমে এমন এক ধরণের রাসায়নিক উপাদানের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা কেমো প্রতিরোধী ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ২০০২ সালে উলঙ্গং ও সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা শামুকের মধ্য থেকে একটা বিশেষ অনু আলাদা করেছেন, যা কিনা ক্যান্সার রোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। গবেষক দলের প্রধান কারা পেরো বলেন এই শামুকগুলো খুবই কঠিন পরিবেশে বাস করে। আর বংশ পরম্পরায় নিজেদের মধ্যে কেমিক্যাল ডিফেন্স মেকানিজম তৈরির মাধ্যমেই এরা আসলে টিকে থাকে।
তবে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ। গবেষক প্রধান কারা পেরো গবেষণাগারে তৈরি ক্যান্সার সেলের ওপর এর ফর্মুলা প্রয়োগ করে দেখেন ৪৮ ঘন্টায় সব জীবাণু ধ্বংস হয়েছে, সাধারণ ক্যান্সার রোধী ওষুধে যা মাত্র ১০ শতাংশ নির্মূল হয়। অনুগুলোকে মানুষের ব্যবহারোপযোগী নিরাপদ ইঞ্জেকটেবল ড্রাগে পরিণত করতে আরো সময় লাগবে। আর মানবদেহে এর পরীক্ষা চালাতে প্রয়োজন আরো অন্তত পাঁচ থেকে দশ বছরের গবেষণা ও অপেক্ষা।